বাথরুমে প্রবেশ করার দোয়া

বাথরুমে প্রবেশ করার দোয়া

বাথরুমে প্রবেশ করার দোয়া– বাংলা বা সাধু ভাষায় বাথরুম বা টয়লেট কে বলা হয় প্রাকৃতিক ডাক।এটা সকল জিবের মধ্যেই হয়ে থাকে কিন্তু প্রাণীর জন্য এর কোন নিয়ম কানুন নাই তাই তারা যেখানে খুশি সেখানেই এ কাজ সেরে ফেলতে পারে। কিন্তু মানুষের জন্য এ কাজ করার অনেক নিয়ম কানুন রয়েছে। সেখানে খুশি সেখানে এই কাজ করতে পারে না একটি নিদিষ্ট জায়গা বা শৌচালয় প্রয়োজন।

ইসলামের দৃষ্টিতে এই কাজ করার কিছু নিয়ম কানুন রয়েছে। সেগুলো সম্পর্কে আজকে আমরা জানবো ইনশাআল্লাহ। নবী করিম (সঃ) বলেন, টয়লেট একটি নোংরা বা ময়লা যুক্ত স্থান তাই সেখানে অনেক দুষ্ট জ্বিন বা পরিরা থাকে, তাই সেখানে গেলে তারা অনেক বাজে কাজ করে থাকে যা আমরা দেখতে পাই না কিন্তু ওরা আমাদের সাথে অনেক খারাপ কাজ করে থাকে তাই নবী করিম সঃ আমাদের ভালোর জন্য বাথরুমে যাওয়ার এবং বের হওয়ার দোয়া শিখিয়ে দিয়েছেন। এমন কি নবী করিম সঃ এই দোয়া পাঠ করতেন।

বাথরুমে প্রবেশ করার দোয়া

আজকে আমাদের আলোচনা হলো বাথরুমে প্রবেশ করার দোয়া সম্পর্কে এবং বাথরুমে যাওয়ার ও বের হওয়ার আদব সম্পর্কে। কী ভাবে বাথরুমে ঢুকতে হয় এবং কি ভাবে বের হতে হয় এবং এর মাঝে কি কি করণিয় রয়েছে এ সম্পর্কে আজকে আলোচনা করবো ইনশাআল্লাহ।

সহীহ হাদিস কাকে বলে – হাদিস সহিহ হওয়ার 5 টি শর্ত?

বাথরুমে প্রবেশ করার দোয়া-  আরবীর বাংলা উচ্চারণঃ বিসমিল্লাহি আল্লাহুমা ইন্নী আউজুবিকা মিনাল খুবুছি ওয়াল খবাইছ।

অর্থঃ আল্লাহর নামে( শুরু করতেছি) ; হে আল্লাহ! নিশ্চয়ই আমি আপনার কাছে খারাপ জিনদের কাছ থেকে পানাহ চাই। ( বুখারী মুসলিম ও ইবনে মাজহা)

বাথরুম থেকে বের হওয়ার দোয়া

আরবীর বাংলা উচ্চারণঃ গুফর-নাকা আল- হামদুল্লিহ হিল্লাজি আজহাবা আন্নিল আজা ওয়াফানি।

অর্থঃ হে আল্লাহ আপনার কাছে ক্ষমা চাই। সকল প্রশংসা ওই আল্লাহর জন্য যিনি আমাকে, ক্ষতিকারক ও কষ্ট দায়ক জিনিস থেকে আমাকে মুক্তি দান করেছেন।

বাথরুমে প্রবেশ করার আগে ও পরে আদব সমূহ

নবী করিম (সঃ) আমাদের সকল কাজের নিয়ম কানুন দেখিয়ে দিয়েছেন যা আমাদের মঙ্গলের জন্য। বাথরুমে জাওয়ার সময় এবং বের হওয়ার সময় কিছু নিয়ম কানুন রয়েছে যা হাদিসের কথা, সেগুলো হলোঃ

১- বাথরুমে প্রবেশ করার সময় প্রবেশর দোয়া পাঠ করা।
২ – বাথরুমে প্রবেশ করার সময় বাম পা দিয়ে প্রবেশ করা।
৩- বাথরুম করার সময় এটা খেয়াল করতে হবে যে কেবলা যেন পিছনে না পরে বা সামনা সামনি না হয়ে যায়।
৪- বাথরুমে বসে যেন পুরোপুরি কাপর না খোলা।
৫- কাজ শেষ করে ডিলা বা কবুল ব্যবহার করা বা টিসু ব্যবহার করা।
৬ – প্রশাব করার সময় সরাসরি পানিতে বা ছায়াদার ফলদার গাছের নিচে না বসা.

জানাজার নামাজের নিয়ম ও বিস্তারিত জেনে নিন ১ পোষ্টে

৭- বাম হাত দিয়ে কুলুব বা টিসু ব্যবহার করা।
৮- একটা জিনিস খেয়াল রাখা যেন প্রসব বা নাপাকি কানি শরীরে বা কাপরে না লাগে।
৯- ডিলা কুলুব ব্যবহারের জন্য কিছু নিয়ম রয়েছে যা যা দিয়ে ডিলা কুলুব করা যাবে না তা হলো হাড্ডি, কয়লা,গাছের পাতা, শুক্না গোবর, ইত্যাদি দিয়ে ব্যবহার করা যাবে না।
১০- বাথরুমে কাজ শেষ করে বের হবার সময়, বের হবার দোয়া পাঠ করা।
১১- প্রসব পায়খানা করে অবশ্যই অজু করে পবিত্রতা অর্জন করা।

শেষ কথা

বাথরুমে প্রবেশ করার  দোয়া – টয়লেট হলো এমন একটি স্থান যেখানে বদ জেনদের আবাসস্থল তারা সেখানে থাকে এবং মানুষের ক্ষতি করে তাই মহানবী হজরত মুহাম্মদ সঃ আমাদের কে সেই সব বদ জেনদের আচল থেকে বাচার জন্য আমাদের কে এই দোয়া গুলো শিখিয়েছেন। তাই যে আমরা এই সকল আমল গুলো করতে পারি সেই তাওফিক আল্লাহ তায়ালা সকল কে দান করুন আমিন। আর সকল মুসলমানদের কে আল্লাহ কবুল করুন আমিন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *