কিস্তিতে মোবাইল – আমাদের দেশে অধিকাংশ পরিবার মধ্যবিত্ত। অনেকের পক্ষেই একবারে টাকা দিয়ে মোবাইল ক্রয় করাটা প্রায় অসম্ভব। পছন্দের মোবাইল ফোন টি অনেক সময়ে আমাদের সাধ্যের বাহিরে হওয়ার ফলে সেটা ক্রয় করতে পারিনা। এর জন্য আপনাদের সুবিধা করে দিতে পারে কিস্তিতে মোবাইল। বাংলাদেশের অনেক মোবাইল দোকান এর মাধ্যমে EMI
তবে কিস্তির পরিমান নির্ধারণ করা হবে মোবাইলের দাম এর উপরে। যদি বেশী দাম হয় মোবাইল এর তাহলে কিস্তির পরিমান টাও বেড়ে যাবে। আপনি চাইলে অনলাইনেও কিস্তিতে মোবাইল কিনতে পারবেন। আপনি যদি সহজ কিস্তিতে নতুন মোবাইল ফোন ক্রয় করতে চান তাহলে আর্টিকেল টি সম্পুর্ণ পড়ার চেষ্টা করুন।
প্রিয় পাঠক বৃন্দ আজকের আর্টিকেলে আমরা কিস্তিতে মোবাইল কিভাবে নিবেন সে সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করবো। কিস্তিতে মোবাইল নেয়ার জন্য আপনার কি কি কাগজ পত্র লাগবে। কোন যায়গা থেকে আপনি কিস্তিতে মোবাইল ক্রয় করতে পারবেন সব থাকছে আজকের পোষ্টে। আপনি যদি গুগলে কিস্তিতে মোবাইল কেনার সম্পর্কে ভালো কোনো নিবন্ধ না পেয়ে থাকেন আমাদের পোষ্ট টি আপনার জন্য যথেষ্ট৷
কিস্তিতে মোবাইল
কিস্তিতর মাধ্যমে মোবাইল নিতে হলে আপনাকে অনেক গুলো কাগজ পত্র জমা দিতে হবে। আপনি চাইলে এটা অনলাইনের মাধ্যমে ও সম্পন্ন করে নিতে পারেন। সাধ্যের মোবাইল ফোন টি যদি কিস্তিতে মোবাইল প্রদান করা দোকান গুলোতে থাকে তাহলে কিনতে পারবেন। উল্লেখ্য, এসকল দোকান গুলোতে সব ফোনের উপর EMI সেবা প্রদান করে না। তবে জেনে খুসি হবেন যে ৯০% মোবাইল এই সকল দোকান থেকে আপনি কিস্তিতে নিতে পারবেন।
যে কোনো পেশাজিবি যেমন- ব্যাবসায়ী, চাকরিজিবী, দোকান্দার, শিক্ষার্থী সকলেই কিস্তিতে মোবাইল নিতে পারবেন। তবে অনেক অনেক শপ সেন্টার গুলোতে ক্রেডিট কার্ড ছাড়া কিস্তির মাধ্যমে মোবাইল প্রদান করে না। এ ক্ষেত্রে আপনার একটি ব্যাংক একাউন্ট এর প্রয়োজন হতে পারে। কিস্তিতে মোবাইল নেয়ার জন্য আপনাকে শুরুতে ডাউনপেমেন্ট করতে হবে। ডাউনপেমেন্ট আবার কি? ডাউনপেমেন্ট হলো মোবাইলের দাম অনুযায়ী আপনাকে, ৩০% বা ৪০% এর টাকা আগে দিয়ে দিতে হবে।
আরো পড়ুন- মোবাইল দিয়ে বিকাশে টাকা আয় করার জনপ্রিয় সব মাধ্যম – 2022
আমি আরেকটু পরিস্কার করে আপনাদের বলি৷ ধরুন, মোবাইল এর দাম হচ্ছে ১৫ হাজার টাকা। এটাকে ৩০% এ করলে হয় ৫ হাজার টাকার একটু বেশী। শুরুতে আপনাকে ফোনের দামের ৩ ভাগের একভাগ টাকা পরিশোধ করে দিতে হবে।
কিস্তিতে মোবাইল নিতে কি কি লাগে
কিস্তির মাধ্যমে মোবাইল নিতে বিভিন্ন দোকান অনুযায়ী আলাদা আলদা চাহিদা থাকে। এখানে দেয়া প্রতিটি বিষয় দোকান ভেদে নাও লাগতে পারে আবার এর চেয়ে বেশী পরিমান ও লাগতে পারে। তবে নিচে দেয়া উল্লেখিত কাগজ পত্র গুলো রেডি রাখবেন কিস্তির মাধ্যমে মোবাইল কেনার জন্য।
- ন্যাশনাল আইডি কার্ড
- ক্রেডিট কার্ড বা ব্যাংক একাউন্ট
- জন্মনিবন্ধন সনদ
- গ্যারান্টর অর্থ্যাৎ আপনি না থাকলে যিনি কিস্তি পরিশোধ করতে পারবেন ও গ্যারান্টর এর উপার্জন সোর্স দেখাতে হবে।
- পাসপোর্ট সাইজের ৩ কপি ছবি
অনলাইনে কিস্তিতে মোবাইল কিনবেন কিভাবে
অনলাইনের মাধ্যমে আপনি যদি কিস্তির মাধ্যমে মোবাইল কিনতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে EMI এর মাধ্যমে কিনতে হবে। যার জন্য প্রয়োজন হবে আপনাদের ক্রেডিট কার্ড । এ ছাড়া অনলাইনে আপনি কোনো ভাবেই কিস্তির মাধ্যমে মোবাইল নিতে পারবেন না। অনলাইনে অনেক ই-কর্মাস সাইট থেকে আপনি কিস্তির মাধ্যমে মোবাইল নিতে পারবেন এর জন্য পিকাবো, রবিশপ, গ্রামিনফোন শপ সেন্টার রয়েছে। পিকাবো ই কমার্স সাইট থেকে আপনি সহজেই EMI সুবিধায় ফোন কিনতে পারবেন৷
কিস্তিতে মোবাইল কোথায় পাবেন
প্রিয় পাঠক ইতিমধ্যেই হয়ত বুঝেই গেছেন কিভাবে আপনারা অনলাইনে কিস্তির এর মাধ্যমে মোবাইল কিনতে পারবেন। তবে যে ব্যাক্তি কিস্তিতে মোবাইল তার ক্রেডিট কার্ড থাকা অনেক টা অসম্ভব। আমাদের অনেকের কাছেই ক্রেডিট কার্ড না থাকার কারনে এসব জনপ্রিয় সাইট থেকে EMI সুবিধা নিতে পারিনা।
আরো পড়ুন- চীনের বাজারে 1 নম্বর মোবাইল ব্র্যান্ড কোনটি – 2022
এর জন্য আপনাকে প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র গুলো নিয়ে দারাজ, ওয়ালটন, রবি শপ, ইত্যাদি সাইট গুলোতে ভিজিট করতে পারেন। সাথে কোনো শো-রুমে কিস্তিতের মোবাইল প্রদান করে এসকল সম্পর্কে ধারনা নিতে শুরু করে দিন। অথবা আপনি চাইলে নিচের ভিডিও টি দেখে নিতে পারেন এসব দোকান গুলোতে কিস্তিতে মোবাইল দিয়ে থাকে।
কিস্তিতে কত দামের মধ্যে মোবাইল পাওয়া যায়?
সাধারণত কিস্তিতে যে সকল মোবাইল গুলো বিক্রি করে তার দাম ১০ হাজার টাকায় মোবাইল থেকে শুরু করে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। এ সকল দামের মধ্যেই সাধারণ ভাবেই কিস্তির মাধ্যমে মোবাইল দেয়। আপনার বাজেট এর মধ্যেও আপনি চাইলে কিনতে পারবেন। এবং এর সুদ এর পরিমান সামান্য হয় সেটা নির্ভর করে যদিও কিস্তির টাকার পরিমান এর উপরে।
আরো পড়ুন- ওয়ালটন রাইস কুকারের দাম কত – Walton Rice Cooker Price in Bangladesh
কিস্তিতে মোবাইল কেনা কি ভালো হবে?
অবশ্যই ভালো হবে। আমাদের অনেকের সাধ্য নেই যে একবারে পছন্দের ফোন টি ক্রয় করে নিবো। এ ক্ষেত্রে যদি কিস্তিতে নিয়ে নেন তাহলে প্রতি মাসে অল্প কিছু টাকা দিয়ে দিয়ে মূল্য পরিশোধ করতে পারবেন। দোকান ভেদে মোবাইল এর দামের চেয়ে ১/২ হাজার টাকা বাড়তি হতে পারে। তবে আপনি সেখানে ৩ মাস, ৬ মাস ও ১২ মাসের ও কিস্তি নিতে পারছেন। যে অনুযায়ী যদি ভাবেন তাহলে এটা কোনো সমস্যা নেই। আর কিস্তিতে কেনা মোবাইল গুলো একদম অরিজিনাল ওয়ারেন্টি বা গ্যারান্টি সব কিছুই পাবেন ফোনের সাথে।
লেখকের মন্তব্য
কিস্তির মাধ্যমে মোবাইল আর্টিকেলে আমরা সকলেই সহজে কিস্তিতে মোবাইল কিভাবে নিবেন সে সম্পর্কে বিস্তারিত একটা ধারণা দিলাম। অনেকেই এ সম্পর্কে ভালো কোনো নিবন্ধ খুজে পান না। বিস্তারিত ভাবে পড়ার পড়েও যদি আপনি বুঝতে না পারেন কোথাও তবে আর্টিকেলের নিচে মন্তব্য করে আমাদের জানাতে পারেন। আমরা প্রতিটি আর্টিকেলে আমাদের ভিজিটর দের সাহায্য করে থাকি। এতক্ষন ধরে পোষ্ট টি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আরো পড়ুন– মোবাইল ভাইরাস কাটার সফটওয়্যার – সেরা ৫ টি এন্টিভাইরাস