অনলাইনে বিবাহ রেজিস্ট্রেশন যাচাই করার নিয়ম – নিকাহ রেজিস্ট্রার করার নিয়ম

অনলাইনে বিবাহ রেজিস্ট্রেশন যাচাই করার নিয়ম

অনলাইনে বিবাহ রেজিস্ট্রেশন যাচাই করার নিয়ম- কাবিন নামা অনলাইন চেক- বিয়ে করার পর বিবাহ সনদ করে ফেলা অনেক গ্রুরুত্বপূর্ন। অনেকেই ভাবেন বিবাহ রেজিস্ট্রসন সনদ

আর কি বা কাজে লাগে। কিন্তু বর্তমানে এমন এটা অনেক ক্ষেত্রেই কাজে লাগে।

বিশেষ করে, আপনি যে বিয়ে করবেন সেটার আইনত যদি দলিল না থাকে তাহলে কি লাভ বলেন। বিবাহ আইনে বলা হয় যে আপনাকে অবশ্যই বিবাহ রেজিস্ট্রার করতে হবে।

প্রিয় পাঠকগন আমাদের আজকের আর্টিকেলে জানাবো কিভাবে অনলাইনে বিবাহ রেজিস্ট্রসন যাচাই করা যায়। অনেকেই অনলাইনে খুজে থাকেন কাবিন নামা অনলাইন চেক সম্পর্কে। তাই আজকে এই বিষয়ে বিস্তারিত সব কিছু তুলে ধরব।

অনলাইনে বিবাহ রেজিস্ট্রেশন যাচাই করার নিয়ম

বর্তমানে বাংলাদেশে অনলাইনে কাবিন নামা চেক করা সবার জন্য উন্মুক্ত নয়। কাবিন নামা অনলাইনে চেক করার জন্য আপনাকে আপনার আশে পাশের বিবাহ রেজিস্ট্রার অফিসে যেতে হবে। সেখান থেকে নির্দিষ্ট পরিমান ফি প্রদান করে আপনাকে বিবাহ রেজিস্টার করে নিতে হবে। পাশাপাশি আপনাকে একটি সনদ প্রদান করা হবে।

বিবাহ রেজিস্ট্রার এর সুবিধা

বিবাহ রেজিস্ট্রার করে নিলে অনেক ধরণের সুজোগ পাওয়া যায়। বিশেষ করে, আপনি যে বিয়ে করেছেন সেটার একটা বড় প্রমান হলো এটি। আপনি যাকে বউ বলে দাবী করবেন সেটা অন্যদের কাছে প্রাম করার জন্য হলেও বিবাহ রেজিস্ট্রার সনদ এর প্রয়োজন পরবে।

বড় কোনো হোটেলে থাকার জন্য যদি স্বামি-স্ত্রী উভয়ে যান তাহলে বিবাহ সনদ অবশ্যই দরকার হবে। বিবাহ রেজিস্ট্রার সনদ ছাড়া এসকল হোটেলে আপনাকে থাকতে দেওয়া হবে না।

স্বামি কিংবা স্ত্রী যদি কোনোরুপ প্রতারনা করে। তাহলে কোর্টে মামলার ক্ষেত্রেও নিকাহনামা প্রয়োজন হয়। নিকাহ নামা ছাড়া কোনো ভাবেই আপনি আইনের সহায়তা নিতে পারবেন না।

আরো পড়ুন- বিয়ে করতে কি কি লাগে – পালিয়ে বিয়ে কিভাবে করবেন জানুন সব – 2023

বিবাহ রেজিস্ট্রেশন করার নিয়ম

সবচেয়ে ভালো হয় আপনি যেদিন বিবাহ সম্পন্ন করবেন ঠিক সেদিন এই বিবাহ রেজিস্ট্রার করে সনদ বের করে ফেলা। এর কারন হচ্ছে – ১৯৭৪ সালে বিবাহ নিবন্ধন ও তালাক এর উপর একটি আইন প্রণিত হয়। যেখানে বিয়ের রেজিস্ট্রার করতে কঠিন ভাবে বলা হয়।

সাধারণত আমাদের দেশে বেশিরভাগ বিয়ে ইসলামিক নিয়ম অনুযায়ী মসজিদে বা হুজুর এর মাধ্যমে করানো হয়। এ ক্ষেত্রে সাথে সাথে রেজিস্ট্রি করাতে অনেকেই ভুলে যান। তবে বিয়ের ৩০ দিনের মধ্যে অবশ্যই স্বামিকে বিবাহ রেজিস্ট্রার করতে হবে।

যদি কোনো কারনে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বিবাহ রেজিস্ট্রার না করা হয় তবে আইন অনুযায়ী দুই বছরের কারাদন্ড বা ৩ হাজার টাকা জরিমানা দিতে হবে স্বামি কে। এ ক্ষেত্রে স্ত্রী কোনোরুপ ভাবে দায়ী থাকে না।

বিবাহ রেজিস্ট্রেশন করার জন্য আপনাকে কাজি অফিসে যেতে হবে অথবা বিবাহ রেজিস্ট্রার অফিসে যেতে হবে। নিকাহ নামার ফর্ম আপনি অথবা কাজি কে দিয়ে পূরন করতে হবে। কোনোরুপ ভুল তথ্য থাকলে তবে কাজি কোনো দায়ী থাকবেনা। প্রতিটি তথ্য আপনাকেই যাচাই করতে হবে কাজী সঠিক ভাবে লিখছে কি না।

তবে কাজি যদি ইচ্ছাকৃত ভাবে কোনো প্রকার ভুল করে ফর্ম পূরনে তবে জেলা রেজিস্ট্রার এর কাছে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দেয়া যাবে। সবচেয়ে ভালো হয় ফর্ম টি আপনি নিজেই যদি পূরন করেন।

বিবাহ রেজিস্ট্রেশন ফি

বিবাহ রেজিস্ট্রার করার সময় ফি জানা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। অনেকেই ফি জানেন না বা বিয়ে তো আর প্রতিদিন করা হয়না যে ফি জানা থাকবে। অনেক স্থানেই শোনা যায় কাজী অতিরিক্ত ফি নিয়ে থাকে বিবাহ রেজিস্টার ফি এর জন্য।

বিবাহ রেজিস্ট্রার ফি নির্ধারণ করা হয় দেনমোহরের উপর ভিত্তি করে। প্রতি হাজার দেনমোহরে ১২-৫০ টাকা করে ফি দিতে হবে। দেনমোহর যদি অনেক কম ও হয় তাহলেও সবচেয়ে নীম্ন ২০০ টাকা ফি দিতে হবে। তবে দেনমোহর যদি ৪ লক্ষ টাকার বেশি হয় তবে এর পরের প্রতিটি ১ লাখ টাকার জন্য ১০০ টাকা করে ফি দিতে হবে।

আরো পড়ুন- বিয়ের কসমেটিকস এর তালিকা – বিয়ের বাজার লিস্ট দেখে নিন

নিকাহ নামা ফর্ম পিডিএফ ডাউনলোড

নিকাহ নামা অনলাইন ফর্ম জাতীয় বিবাহ অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে পিডিএফ ডাউনলোড করে নিতে পারবেন। নিকাহ নামা ফর্ম ডাউনলোড করতে এখানে ক্লিক করুন।

আমাদের শেষ কথা

অনলাইনে বিবাহ রেজিষ্ট্রেশন যাচাই করার নিয়ম আর্টিকেলে জানালাম কিভাবে আপনারা নিকাহ রেজিস্ট্রি করবেন। অনলাইনে বিবাহ রেজিস্ট্রেশন এত চেয়ে সরাসরি কাজি অফিসের মাধ্যমে করে নেয়া সবচেয়ে ভালো হবে। আর এখনো অনলাইনে আসেওনি এমন পদ্ধতি। আর্টিকেল টি পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

আরো পড়ুন-

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *